শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৩ অপরাহ্ন

News Headline :
মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ভ্যান চালকের মৃত্যু রাজশাহীর মোহনপুরে মদ পানে ৩ জনের মৃত্যু, গ্রেফতার ২ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাতটি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা যানজট নিরসন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আরএমপি’র মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে এবার কৃষকরা আমন ধানের আশানুরুপ ফলন পেয়েছে পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ১জন আহত শাজাহানপুরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মান্দায় বিল উন্মুক্তের দাবিতে জেলেদের সংবাদ সম্মেলন সভাপতির স্বৈরাচারী আচরন স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে পাবনা শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির

পাবনা দেবোত্তর ইউপি চেয়ারম্যান চঞ্চলের বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

Reading Time: 2 minutes

নিজস্ব সংবাদদাতা :
পাবনা আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু হামিদ মোঃ মোহাইম্মনী হোসেন চঞ্চল এর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্রীকে ধর্ষন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২২ জুন)দুপর ১২টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া শিলা নামের ওই ছাত্রী লিখিত বক্তব্যে এমনটাই দাবী করেছেন। এমন অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুমাইয়া শিলা। লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে জানা যায় পাবনার আটারিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান আবু হামিদ মোঃ মোহাইম্মনী হোসেন চঞ্চল শঠতার আশ্রয় নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে চট্টগ্রাম ভেটারিনারি এ্যান্ড এ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছে। এই ধর্ষণ চেষ্টার আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর বড় বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু তার বড় বোনকে সুকৌশনে খাবারের সাথে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর বেশকিছুদিন পর তার বড় বোনের ডায়রী থেকে বিষয়টি ভুক্তভোগী পরিবার জানতে পারে। ধর্ষক চেয়ারম্যান প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার অসহায়, বিধায় ঢাকায় এসে সংবাদ সম্মেলন করতে হয়েছে বলেও জানান। সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া শিলা বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগপত্র পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর প্রেরন করেছেন। ভিকটিম দাবি করেন, শুধু আমি নই, আমার বড় বোন আদুরীও ওই চেয়ারম্যানের লালসার শিকার হয়ে মারা গেছেন। যেটি আমরা জানতে পারি, কিছু দিন আগে বাড়ির বইপত্র গোছানোর সময় পাওয়া একটি ডায়েরীর সূত্র ধরে। আমার বোন আদুরী খাতুনের প্রেমিক চঞ্চলের হাতে লেখা একটি ব্যক্তিগত ডায়েরী থেকে জানতে পারি, আমার বোনের সঙ্গে চেয়ারম্যান চঞ্চলের প্রেমের সর্ম্পক হয় ২০১০ সালে। চঞ্চল তখন দেবোত্তর ইউনিয়নের ইশারত আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমার বোন একই বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। আমাদের বাড়িতে চঞ্চলের যাতায়াতের সুবাদে আদুরীর সঙ্গে তার প্রেম চলছিল। আমার বোনকে বিয়ে করবে আশ্বাস দিয়ে ২০১২ ইং সালে বেড়াতে নিয়ে যায় পাবনা শহরে। সেখানে অজ্ঞাত এক বাড়িতে তার বোনকে চঞ্চল ধর্ষণ করে। বোন বাড়িতে ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বোনকে মৃত ঘোষণা করেন। বোনের মৃত্যুকে আমরা স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেই। কারণ তখন আমরা বিষয়টি জানতাম না। বোন মারা যাওয়ার পর চঞ্চল সান্তনা দিতে আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করতে থাকেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এভাবেই সামাজিক সর্ম্পক চলে আসছিল। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় আমরাও বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেই। এক পর্যায়ে চঞ্চল আমাকে বলেন, আদুরীকে তার বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু মারা যাওয়ার কারণে সেটি যেহেতু আর সম্ভব হয়নি। এজন্য তিনি আমাদের পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তা করতে প্রস্তাব দেন। এতে করে আমার সঙ্গে চঞ্চলের স্বাভাবিক সর্ম্পক তৈরি হয়।পরে তা প্রেমের সর্ম্পক্য গড়ায়। বিয়ে হওয়ার বিষয়টি এক প্রকার নিশ্চিত। একদিন আমাকে বেড়ানোর কথা বলে পাবনা শহরে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক আমার সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে এবং তা মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। সেই সুযোগ নিয়ে বার বার আমার সঙ্গে অনৈতিক শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করতে প্রস্তাব দিতে থাকে। পাশাপাশি নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এতদিন পর বোনের ডায়েরী পাওয়ার পর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আমাদের ধারণা, আমার বোনের মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটন হবে বলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন ও ভিডিও চিত্র ধারণ এবং সেই ভিডিও চিত্র প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বিবাদীর নিজ কক্ষ সহ অনেক স্থানে ভিকটিম কে ধর্ষন করেন। ভিকটিম পরিবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গেলে চেয়ারম্যন তার প্রভাব বিস্তার করে ধামাচাপা দেন। চেয়ারম্যান বিভিন্ন অপকৌশনের আশ্রয় নেন, তার মধ্যে বিয়ে হয়নি অথচ তালাক নামা পাঠিয়েছে।বিভিন্ন মাধ্যমে এখনও ভয়ভীতি হুমকি অব্যহত রেখেছেন। এ কারনে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদিক,প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে ন্যায় বিচার পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।চেয়ারম্যান কর্তৃক তার বড় বোন আদুরী হত্যার সুষ্ঠ বিচার প্রার্থনা করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।সংবাদ সম্মেলনে ওই ছাত্রী পিতা মোঃ রিফাত উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য চেয়ারম্যান আবু হামিদ মোঃ মোহাইম্মনী হোসেন চঞ্চল সদ্য ঘোষিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আাটঘরিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com